বাল্য বিবাহ আইন ১৯২৯
বাল্য বিবাহ বলতে কী বুঝায় ?
বাল্য বিবাহ বলতে ঐ বিবাহ কে বুঝায় যে বিবাহে বর কনের যে কোন একজন বয়সের দিক দিয়ে শিশু বা নাবালক । অর্থাৎ বরের বয়স ২১ বছরের নিচে এবং কনের বয়স ১৮ বছরের নিচে ।
বাল্য বিবাহ সংগঠিক হলে তার ফলাফল কী?
আইনে বাল্য বিবাহ নিষেধ করা সত্বেও যদি তা অনুষ্ঠিত হয়, তবে তা অবৈধ নহে । আদালত ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ৪৯ ধারা অনুসারে নাবিলিকা কনেটিকে তার স্বামীর সাথে যেতে দিতে পারে, যদিও স্বামী এ আইনের অধীনে শাস্থি পাবে ।-২২ডিএলআর (এসসি)২৯৮ ।
স্ত্রী নাবালিকা স্বামী সাবালক, স্বামীর শাস্থি কী?
কোন ব্যক্তি যদি স্বেচ্ছায় বা নিজ ইচ্ছায় ১৮ বছরের কম বয়সী কোন শিশু বা নাবালিকা কন্যাকে বিবাহ করে তাহলে সে আইনগতভাবে শাস্তি পাবে । শাস্থির পরিমাণ এক মাসপযর্ন্ত বিনাশ্রম কারাদন্ড বা এক হাজার টাকা অর্থদন্ড অথবা উভয় দন্ড ।
বাল্য বিবাহের ক্ষেত্রে স্বামী ও স্ত্রী নাবালক হলে কী ধরনের শাস্তি হবে ?
স্বামী ও স্ত্রী যদি নাবালক হয় তবে তাদের কোন শাস্থি হবেনা । যারা বাল্য বিবাহের আয়োজন করেছেন তাদের শাস্তি হবে ।
বাল্য বিবাহের দায়ে নাবালিকা কনের শাস্তির কোন বিধান আছে কিনা ?
কোনব্যক্তি বাল্য বিবাহ অনুষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা বা পরিচালনা করলে সে ব্যক্তির এক মাস পর্যন্ত বিনাশ্রম কারাদন্ড বা এক হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা বা উভয়দন্ডে দন্ডিত হবে ।
নির্ধারিত বয়সের চেয়ে কম বয়সী ছেলে মেয়ের মধ্যে বিবাহ হলে বিবাহটি বাতিল হবে কিনা ?
বিবাহটি অবৈধ বা বাতিল হবে না, কিন্তু তা শাস্তি যোগ্য বাল্য বিবাহের মামলা কোন আদালতে দায়ের করতে হবে?
বাল্য বিবাহ ফৌজদারী অপরাধ । ফৌজদারী আদালতে মামলা দায়ের করতে হবে ।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস